WBCHSE Class XI Semester 2 Computer Application Chapter 2 Question Answer

WBCHSE Class XI Semester 2 Computer Application Chapter 2 Question Answer | একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর দেখতে  Click Here 

একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


প্রশ্ন ও উত্তর 

১) অ্যারে কাকে বলে ?

উত্তর - অ্যারে শব্দটি সাধারণত গণনা এবং প্রোগ্রামিং এ ব্যবহৃত হয়। একই ধরনের ডেটা টাইপের গুচ্ছকে অ্যারে বলে । এর এলিমেন্টগুলো মেমোরিতে পরপর অবস্থান করে।অ্যারে দুই প্রকার একমাত্রিক অ্যারে এবং দ্বিমাত্রিক অ্যারে।


২) অ্যারের  বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ ?

উত্তর - অ্যারের  বৈশিষ্ট্য গুলি হল - 

i) অ্যারের উপাদান গুলি একই জাতীয় হয়। 

ii) অ্যারে একটি নির্দিষ্ট তালিকা অনুযায়ী উপাদান গুলি সংরক্ষণ করে।

iii) অ্যারের আকার নির্দিষ্ট থাকে একবার তৈরি হলে তা পরিবর্তন করা যায় না।

iv) অ্যারে ব্যবহার করে একসাথে অনেকগুলো এলিমেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করা সহজ হয়।


৩) অ্যারে ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ ? 

উত্তর -

 i) অ্যারেতে সব উপাদান একসাথে মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকে এর ফলে মেমোরির সাশ্রয় হয় ।

ii)  অ্যারে ব্যবহারের ফলে একটি নির্দিষ্ট একই ধরনের একাধিক ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।

iii) অ্যারের মধ্যে সংরক্ষিত ডেটা গুলিকে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।


৪). একমাত্রিক অ্যারে বা 1D  অ্যারে কাকে বলে ? এর Syntax লেখো?

উত্তর - একমাত্রিক  অ্যারে হল একই ডেটা টাইপের একটি গ্রুপ । যেখানে উপাদানগুলি একের পর এক সরল রেখার মতো সাজানো থাকে। 

Syntax -  int arr[4] = {1,2,3,4};

৫) 2D বা দ্বিমাত্রিক অ্যারে কাকে বলে ? এর উদাহরণ দাও ?

উত্তর - একটি 2D অ্যারে হলো এমন একটি অ্যারে যেখানে একটি টেবিল এর মত কলাম ও সারি এই দুটি মাত্রায় উপাদান গুলি সাজানো থাকে।

যেমন -    1   2   3
               4   5   6 
               7   8   9

৬) NULL পয়েন্টার কাকে বলে ?

উত্তর - Null কথার অর্থ হল শূন্য। Null পয়েন্টার মেমোরির একটি ঠিকানা নির্দেশ করে না বা কোন নির্দিষ্ট ডেটা সংরক্ষণ করে না। এটি সাধারণত শূন্যমান ধারন করে।

৭) Linked লিস্ট এর ডেটা ও এড্রেস অংশ কাকে বলে ?

উত্তর - লিঙ্কড লিস্টে মেমোরিতে ডেটা গুলি এলোমেলোভাবে সাজানো থাকে লিংক লিস্টে প্রত্যেকটি উপাদানের দুটি অংশ থাকে । Data অংশ ও Address অংশ। 

যে অংশ তথ্য সংরক্ষণ করে তাকে ইনফরমেশন বা ডেটা অংশ বলে এবং যে অংশ পরবর্তী নোটের অ্যাড্রেস সংরক্ষণ করে তাকে অ্যাড্রেস অংশ বলে ।

৮). বৃত্তাকার কিউ বা Circular Queue কাকে বলে ? দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ?

উত্তর - বৃত্তাকার কিউ হলো একটি বিশেষ কিউ যেখানে শেষ উপাদানের পরবর্তী উপাদানটি আবার প্রথম স্থানে চলে আসে। এটি একটি বৃত্তের মতো আচরণ করে অর্থাৎ শেষ অবস্থানের পরে আবার শুরুতে ফিরে আসে। ফার্স্ট ইন ফার্স্ট আউট নীতির উপর ভিত্তি করে অপারেশন করে। একে "রিং বাফার" ও বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য:- 

i) বৃত্তাকার কিউ মেমোরির পুন:ব্যবহার করতে পারে ।

ii) বৃত্তাকার কিউ তে ফ্রন্ট ও রেয়ার নামের দুটি পয়েন্টার থাকে

৯) 1D ও 2D অ্যারের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ ?

উত্তর - 
i) 1D অ্যারে একই ধরনের ডেটা টাইপ সঞ্চয় করে এবং 2D অ্যারে বিভিন্ন অ্যারের একটি অ্যারে,বিভিন্ন তালিকার একটি তালিকা, বা  বিভিন্ন একমাত্রিক অ্যারের একটি অ্যারে সঞ্চয় করে।

ii) 1D অ্যারের একটি মাত্রা রয়েছে এবং 2D অ্যারের দুটি মাত্রা রয়েছে ।

iii) 1D অ্যারে  সরলরেখার মত দেখায় এবং 2D অ্যারে উচ্চতা ও প্রস্থ উভয়ই দৃশ্যমান

১০) লিঙ্কড লিস্ট কাকে বলে ?

উত্তর - লিংকড লিস্ট হলো অনেকগুলি নোডের সমষ্টি এবং প্রত্যেকটি নোটে দুটি অংশে থাকে একটি ডেটা ও অপরটি লিংক । ডেটা গুলি লিংক পয়েন্টারের মাধ্যমে লিনিয়ার অর্ডারে মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়।

১১) লিঙ্ক লিস্ট কত প্রকার ও কি কি ?

উত্তর - লিংকড লিস্ট কে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি -

i) সিঙ্গেল লিংকড লিস্ট
ii) সার্কুলার বা বৃত্তাকার লিঙ্কড লিস্ট
iii) ডাবলি লিংকড লিস্ট

১২) সিঙ্গেল লিংকড লিস্ট কাকে বলে ?

উত্তর - সিঙ্গেল লিংকড লিস্ট হলো অনেকগুলি নোট দিয়ে গঠিত একটি list যার প্রতিটি নোটের দুটি অংশ থাকে একটি হল ডেটা এবং অপরটি এড্রেস যা পরবর্তী নোট কে নির্দেশ করে। সিঙ্গেল লিংকড লিস্ট সবসময় সামনের দিকেই পরিচালিত হয়।

১৩) সিঙ্গেল লিংকড লিস্টের বৈশিষ্ট্য লেখ ?

উত্তর - 

i) সিঙ্গেল লিংকড লিস্ট  সব সময় প্রথম থেকে শেষে পরপর পরিচালিত হয় ।
ii) সিঙ্গেল লিংকড লিস্টের প্রতিটি নোটের দুটি অংশ থাকে ডেটা ও অ্যাড্রেস।
iii) তীর চিহ্ন দিয়ে লিঙ্ক পয়েন্টার কে বোঝানো হয়। 

১৪) বৃত্তাকার লিংকড লিস্ট কি ? 

উত্তর - বৃত্তাকার লিঙ্কড লিস্ট হলো অনেকগুলি নোটের সমষ্টি যেখানে লিস্টের শেষ নোডটি আবার প্রথম নোডের সাথে যুক্ত থাকে। 

১৫) বৃত্তাকার বা Circular Linked লিস্টের বৈশিষ্ট্য লেখ ?

উত্তর - 

i) বৃত্তাকার লিঙ্কড লিস্টের শেষ নোডের next পয়েন্টার আবার প্রথম রোডের দিকে নির্দেশ করে ।

ii) Circular লিংক লিস্ট যেকোনো নোট থেকে শুরু হতে পারে |

iii) Circular বা বৃত্তাকার লিঙ্ক লিস্টের শুরু ও শেষ থাকে না ।

১৬) ডাবলি লিংকড লিস্টের কয়টি অংশ ও কি কি ? 

উত্তর - ডাবলি লিঙ্ক লিস্টের প্রধানত তিনটি অংশ -

i) ডেটা অংশ যেখানে নোটের তথ্য বা ডেটা সংরক্ষিত থাকে । এটি মাঝের অংশ।

ii) Next পয়েন্টার যেখানে পরবর্তী নোটের অ্যাড্রেস লেখা থাকে। 

iii) প্রিভিয়াস পয়েন্টার যেখানে পূর্ববর্তী নোডের এড্রেস ব্যবহার করে আগের নোটের সঙ্গে লিঙ্ক করা যায়।

১৭) লিঙ্কড লিস্টে স্টার্ট পয়েন্টার এর কাজ কি ?

উত্তর - স্টার্ট পয়েন্টারের কাজ হল লিস্টের প্রথম নোডের এড্রেস ধারণ করা ও লিস্টের প্রথম নোডটিকে সনাক্ত করা 

১৮) একটি লিঙ্কড লিস্ট তালিকার শেষ নোডটি কি তথ্য সংরক্ষণ করে ? 

উত্তর - একটি লিংক লিস্ট তালিকার শেষ নোডটি  পরবর্তী নোডের ঠিকানা সংরক্ষণ করে।

১৯) অ্যারে ও লিংকড লিস্টের পার্থক্য লেখ ? 

উত্তর - অ্যারে ও লিংকড লিস্টের পার্থক্য -

 i) অ্যারেতে সব এলিমেন্ট পরপর মেমোরিতে ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষিত থাকে এবং লিঙ্কড লিস্টে প্রতিটি নোট আলাদা আলাদা মেমোরি লোকেশনে থাকে।

ii) অ্যারের সাইজ শুরুতেই নির্ধারণ করতে হয় পড়ে সাইজ বাড়ানো বা কমানো সম্ভব নয়। এটি একটি ফিক্সট ডেটা স্ট্রাকচার এবং লিঙ্ক লিস্টের সাইজ ডাইনামিক সহজে এলিমেন্ট সংযোজন বা মুছে ফেলা যায়।

iii) অ্যারেতে কিছু পরিমাণ মেমোরি অপচয় হয় এবং লিঙ্কড লিস্টে মেমোরি অপচয় হয় না

২০) স্ট্যাক এ পুশ অপারেশন (Push Operation) কাকে বলে ?

উত্তর - পুশ অপারেশন হল স্ট্যাক ডেটা স্ট্রাকচারের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে স্ট্যাকে কোন নতুন ডেটা সংযোজন করা হয়। এটি লাস্ট ইন ফাস্ট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। 

২১) স্ট্যাক এ পপ অপারেশন (POP Operation) কাকে বলে ?

উত্তর - পপ অপারেশন হলো স্ট্যাক স্ট্রাকচারের একটি প্রক্রিয়া। যার সাহায্যে স্ট্যাক থেকে কোন ডেটা কে মুছে ফেলা হয়। এটি ফাস্ট ইন লাস্ট আউট পদ্ধতি অবলম্বন করে ডেটা বিয়োজন করে। অর্থাৎ যে ডেটা টি প্রথমে জমা হয় তা শেষে ট্যাগ থেকে আউট হয়।

২২) শূন্য স্ট্যাক কাকে বলে ?

উত্তর - শূন্য স্ট্যাক মানে হলো একটা স্ট্যাক যেখানে কোন এলিমেন্ট নেই। কোনো স্ট্যাকের Top=0 বা Top= Null হয় তাহলে বুঝতে হবে ওই স্ট্যাকে কোন ডেটা নেই এরকম স্ট্যাক কে শূন্য স্ট্যাক বলা হয়। 


২৩) MaxStk কাকে বলে ?

উত্তর - MaxStk এর অর্থ হল স্ট্যাক এর সর্বোচ্চ লিমিট বা ম্যাক্সিমাম লিমিট। MaxStk দ্বারা স্ট্যাক এর সর্বোচ্চ উপাদান বা সাইজ কে নির্দেশ করা হয় অর্থাৎ লিস্ট এর যত পর্যন্ত ডেটা আমরা স্টোর করতে পারব তাই হলো MaxStk.


২৪) স্ট্যাক ও কিউ এর পার্থক্য লেখ ?

উত্তর - স্ট্যাক ও কিউ এর পার্থক্য হলো -

i) স্ট্যাক ডেটটা স্ট্রাকচার সর্বদা LIFO নিয়ম মেনে চলে এবং কিউ স্ট্যাটাস চর্চার সর্বদা FIFO নিয়ম মেনে চলে।

ii) স্ট্যাক ডেটা স্ট্রাকচারে Push অপারেশনের দ্বারা স্টাক এ নতুন এলিমেন্ট সংযুক্ত করা হয় এবং কিউ ডেটা স্ট্র্যাকচারে Enqueue অপারেশনের সাহায্যে নতুন এলিমেন্ট কিউতে সংযুক্ত করা হয়।

iii) স্ট্যাক ডেটা স্ট্রাকচারে POP অপারেশনের দ্বারা স্ট্যাক থেকে এলিমেন্ট মুছে ফেলা হয় এবং কিউ ডেটা স্ট্র্যাকচারে Dequeue অপারেশনের সাহায্যে কিউ থেকে এলিমেন্ট মুছে ফেলা হয়।

iv) স্ট্যাক এর কোন বিভাগ বা প্রকারভেদ নেই এবং কিউ বিভিন্ন প্রকারের হয়।


২৫) Enqueue ও Dequeue কি ?

উত্তর - Enqueue : কিউতে ডেটা সংযোজন বা অ্যাড করার প্রক্রিয়াকে এন-কিউ বলা হয়।

 Dequeue: কিউতে ডেটা ডিলিট বা বিয়োজন করার পদ্ধতিকে ডি-কিউ বলা হয়।


২৬) Front ও Rear কাকে বলে ?

উত্তর - Front: কোন কিউয়ে প্রথমে যে উপাদান রাখা হয় তাকে ফ্রন্ট বলা হয়।
Rear: কোন কিউই শেষে যে উপাদান রাখা হয় তাকে রিয়ার বলা হয়। 
ডেটা স্ট্রাকচারে ফন্ট ও রিয়ার শব্দ দুটি কেবলমাত্র কিউ এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। 

২৭) Queue তে ডেটা Overflow কখন হয় ?

উত্তর - যদি কিউটি নির্দিষ্ট সাইজের হয় এবং সেই নির্দিষ্ট সাইজের অতিরিক্ত কোন ডেটা সেই  কিউতে এনকিউ এর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয় তখন ডেটা overflow হবে।

যেমন - ধরি, আপনি 8 সাইজের একটা কিউ তৈরী করেছেন । এখন সেই কিউতে 8 টা আইটেম থাকবে। যদি সেখানে আরো একটা আইটেম Enqueue বা সংযুক্ত করা হয় তাহলে overflow হবে।

২৮) লুপ (Loop) কাকে বলে ?

উত্তর - লুপ হল এক ধরনের কন্ট্রোল স্ট্রাকচার যা একটা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করার পর পুনঃরায় আবর্তিত হয়। রিকার্শন বলতে পুন:রায় বা বারবার আবর্তিত হওয়াকে বোঝায় কোন এলগরিদম এর একটি অংশ বারবার আবর্তিত হলে তাকে আমরা লুপ বলি।

 লুপ তিন প্রকারের হয়-
ক) ফর লুপ, খ) ওয়াইল লুপ, গ) ডু ওয়াইল লুপ


২৯) রিকার্শন কি ?

উত্তর - যখন কোন ফাংশন নিজেই নিজেকে কল করে তখন তাকে রিচার্শিভ ফাংশন বলে এবং এই প্রক্রিয়াকে রিকার্শন বলা হয়।


৩০) রিকার্শনের সুবিধা ও অসুবিধা লেখ ?
উত্তর - 

রিকার্শনের সুবিধা :-

i) রিকার্শন ফাংশন জটিল সমস্যাকে সহজ করতে সাহায্য করে।

ii) রিকার্শন  ফাংশন অপ্রয়োজনীয় কোলিং হ্রাস করে।

iii) এতে কম সংখ্যক ভেরিয়েবল প্রয়োজন হয় এবং প্রোগ্রাম অনেক সহজ ও বোধগম্য হয়। 

রিকার্শনের অসুবিধা :-

i) রিকার্শনের একটা বড় অসুবিধা হলো মেমোরি খরচ বেশি হয়।

ii) সাধারণ ব্যবহারকারীদের পক্ষে রিকার্শিভ ফাংশন ব্যবহার করা কঠিন।


আন্তিম কথা :- 

এই প্রতিবেদনে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো। আশাকরি, ছাত্রছাত্রীদের উপকারে আসবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরের আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Edu হোস্টারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url